কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রশাসনিক কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তাদের ‘ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত' দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ডি-নথি প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহারের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণে এটুআই এর ই-সার্ভিস বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ ও উপ-সচিব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ও ইউজিসির মাধ্যমে দেশের ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় 'ডি-নথি' উদ্বোধন হয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ডি-নথি' মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে। 'ডি-নথি' মাধ্যমে আপনারা যেসকল শ্রম নির্ভর কাজ করেন তা সহজ হয়ে যাবে। কাজের রেকর্ডগুলি অটোমেটিক্যালি লিপিবদ্ধ করতে পারবেন এবং কম সময়ে, কম শ্রমে দপ্তরগুলোতে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছে দিতে পারবেন।'
ডি-নথির বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ই-নথির সীমাবদ্ধতা দূর করতে ডিজিটাল নথির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি দপ্তর 'ডি-নথি'র আওতায় এসেছে। দুই দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি চলবে। এতে প্রথম ধাপে ২০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা প্রশিক্ষণটি পাবে। এর মাধ্যমে আমরা পুরো প্রশাসনিক কার্যক্রমটিকে 'ডি-নথি'র আওতায় নিয়ে আসতে পারব।'
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছেন সরকার, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তর প্রক্রিয়ায় পেপারলেস ক্যাম্পাস তথা অফিস হিসেবে সম্পৃক্ত করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয়েছে 'ডি-নথি'। যার মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় পেপারলেসভাবে ফাইল প্রক্রিয়াকরণ ও অনুমোদন সম্পন্ন করতে পারবে। এতে সময় ও কাগজের সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জায়গাটিও সুনিশ্চিত হবে।'
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদুল হাছান, এটুআই এর ডি-নথি বাস্তবায়ন বিশেষজ্ঞ এটিএম আল ফাত্তাহ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ধাপে ডি-নথির (ডিজিটাল নথি) সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম ধাপে দেশের আটটি এবং আগস্টে দ্বিতীয় ধাপে দশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি–নথি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।